রবিবার, ১০ মার্চ, ২০১৯

ঐক্য থাকার দরকার ছিল !

কোটা সংস্কারের সাথে বাম ছাত্র সংগঠনের বিরোধ থাকা সঠিক মনে করি না। কোটা সংস্কার যেহেতু সাধারণ ছাত্রদের প্লাটফর্ম এবং অতীতে এরা নানা নির্যাতনের শিকার হয়েছে, এখন ছাত্রদের প্রতিনিধিত্ব করতে চায়। সেখানে তাঁদের অংশগ্রহণ সঠিক মনে করি। যদিও তাঁদের প্লাটফর্ম অরাজনৈতিক, কিন্তু তাঁদের আন্দোলন হল রাজনৈতিক। ফলে কোটা সংস্কারের প্যানেলের সাথে সমঝোতা হলে ভাল হত। তবে এদেরকে প্রতিপক্ষ না ভেবে ক্ষমতাসীনদের প্রতিপক্ষ মনে করা যুক্তিযুক্ত। কারণ অদৌ কোন নিরপেক্ষ নির্বাচন হবে কিনা তাঁর বাস্তবতা বুঝা যাচ্ছে না। কারণ নানা ধরণের অপকৌশলের চেষ্টা সেখানে চলছে। ফলে সকল বিরোধীদের সহযোগী হওয়ার সময় এখন।

আবার বর্তমানে যারা শাসন ক্ষমতায় আছে তারা একদম গায়ের জোরে ক্ষমতায় আছে। সাধারণ মানুষ এখানে নিশ্চুপ দেখা গেলেও সামাজিক দ্বন্দ্ব চলমান। এখন দরকার সেই দ্বন্দ্ব সুত্রপাতের একটি বিন্দু যেখান থেকে একটা সংঘর্ষের সূচনা ঘটে! আমাদের দেশের ইতিহাসে ছাত্রসমাজ সমাজের এগিয়ে থাকা অংশ। যদিও এরা অর্থনৈতিক কাঠামোতে পেটিবুর্জোয়া, কিন্তু এরা বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে সমাজের একটি এগিয়ে থাকা অংশ। ফলে সকল ধরণের অন্যায় অনাচার জুলুম নির্যাতনের বিরুদ্ধে এরা সোচ্চার হয়। আমার মনে হয় যদি ডাকসুতে কারচুপি চলে আর ছাত্রসমাজ তা মেনে না নেয় তবে সংঘর্ষের সূত্রপাত সেখান থেকে শুরু হবে। একদম শুরু হয়ে যাবে আমি বলছি না, তবে তার বাস্তবতা আছে।

অনেকেই বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনের এই নির্বাচন করা সঠিক মনে করছেন না। তবে আমি মনে করি ছাত্রদের অংশগ্রহণ করা ঠিক আছে। এখানে কারচুপির নির্বাচন হওয়ার সম্ভাবনা আছে, আছে রাতের অধারে ব্যালট বাক্স ভরার সম্ভাবনা। তবে সকল কিছুর প্রস্তুতি নিয়েই লড়াই অব্যাহত রাখতে হবে। এজন্য যদি ব্যালট বাক্স ভরে ফেলার চেষ্টা চলে সেখানে একটা সংঘর্ষে রূপ নিতে পারে যা আগামী দিনের ফ্যাসিবাদ বিরুধী লড়াইয়ের একটা বাস্তবতার ইঙ্গিত দিচ্ছে যদি ছাত্ররা তাদের কর্তব্য পালন করতে পারে। এজন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সকল ছাত্রদের আহবান আপনারা ভোট দিন। নিশ্চই সকল অন্যায় জুলুমের বিরুদ্ধে আপনার অবস্থান থাকবে?


EmoticonEmoticon