‘বিশ্বে যা কিছু মহান সৃষ্টি চির কল্যাণকর,
অর্ধেক তার গড়িয়াছে নারী, অর্ধেক তার নর।’
বিশ্বের সব মহৎ সৃষ্টি বা অর্জনের পেছনে নারীর প্রত্যক্ষ অবদান রয়েছে। আমাদের জাতিসত্তার শৌর্যবীর্য ও বীরত্বের প্রতীক মহান স্বাধীনতা সংগ্রামও এক্ষেত্রে ব্যতিক্রম নয়। বৃটিশ বিরোধী আন্দোলন থেকে মহান স্বাধীনতা আন্দোলন পর্যন্ত প্রতিটি আন্দোলন-সংগ্রামে নারী সমাজের ভূমিকা ছিল অত্যন্ত সাহসী ও তাৎপর্যপূর্ণ। এরই ধারাবাহিকতায় মহান মুক্তিযুদ্ধে নারীর অংশগ্রহণ এবং ভূমিকা ছিল বহুমুখী ও বীরত্বপূর্ণ।
অর্ধেক তার গড়িয়াছে নারী, অর্ধেক তার নর।’
বিশ্বের সব মহৎ সৃষ্টি বা অর্জনের পেছনে নারীর প্রত্যক্ষ অবদান রয়েছে। আমাদের জাতিসত্তার শৌর্যবীর্য ও বীরত্বের প্রতীক মহান স্বাধীনতা সংগ্রামও এক্ষেত্রে ব্যতিক্রম নয়। বৃটিশ বিরোধী আন্দোলন থেকে মহান স্বাধীনতা আন্দোলন পর্যন্ত প্রতিটি আন্দোলন-সংগ্রামে নারী সমাজের ভূমিকা ছিল অত্যন্ত সাহসী ও তাৎপর্যপূর্ণ। এরই ধারাবাহিকতায় মহান মুক্তিযুদ্ধে নারীর অংশগ্রহণ এবং ভূমিকা ছিল বহুমুখী ও বীরত্বপূর্ণ।
মহান মুক্তিযুদ্ধে নারীর অবদান কেবল সম্ভ্রম হারানো, নির্যাতিত ও শরণার্থী নারীর অবর্ণনীয় লাঞ্ছনা-বঞ্চনার গল্পে শেষ নয়। মুক্তিযোদ্ধাদের অনুপ্রেরণাদান, মুক্তিক্যাম্পে খাবার তৈরি ও সরবরাহ, পোশাক সংগ্রহ ও সরবরাহ, মুক্তিবাহিনীর গুপ্তচরবৃত্তি ও যুদ্ধাহতদের পরম মমতায় সেবা-শুশ্রূষার পাশাপাশি সম্মুখ ও গেরিলা যুদ্ধে নারীর অংশগ্রহণ মহান মুক্তিযুদ্ধে ইতিহাসকে সমৃদ্ধ ও গৌরবান্বিত করেছে। কাঁকন বিবি, তারামন বিবি, সিতারা বেগম, শিরিন বানু মিতিল, আশালতা, নাজমা বেগম (কানন বণিক), হালিমা পারভীন, ফাতেমা খাতুন, রওশন আরা, করুণা বেগম, মিরাসি বেগম এবং কাঞ্চনমালাসহ নাম না জানা আরো অনেক নারী রণাঙ্গনে অসমসাহসিকার সাথে বীরদর্পে যুদ্ধ করেছেন।
দুঃখজনক হলেও সত্য, মহান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে নারী অবদান যথাযথভাবে লিপিবদ্ধ করা হয়নি। শুধু মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস রচনার ক্ষেত্রে নয়, কবিতা, উপন্যাস, নাটক, ছোটগল্প এবং চলচ্চিত্রেও নারীর সংগ্রাম ও আত্মত্যাগের প্রকৃত চিত্র ফুটে উঠেনি। এমনকি বীরাঙ্গনা ও মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতির ক্ষেত্রেও নারীরা বৈষম্যের স্বীকার। আর স্বাধীনতা অর্জনের ৪৭ বছরে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি এবং ইতিহাসের পাতায় ঠাঁই না পাওয়া এমনি একজন বীরাঙ্গনা, বীর মুক্তিযোদ্ধা, মুক্তির বেটি, মুক্তিযুদ্ধের অগ্নিকন্যা ও বীরমাতা নামে খ্যাত অকুতোভয় সংগ্রামী নারীর নাম কাঁকন বিবি।
মুক্তিযুদ্ধের সময় দখলদার পাকিস্তানি মেজর তাঁকে দেখে বলেছিল, ‘একে তো বাঙালি মনে হয়না। মনে হয় অন্য জাত।’ পাক মেজরের ওই ‘জাতাভ্যিমানেই’ প্রথম দফায় ধর্ষণের শিকার হওয়া থেকে রক্ষা পেয়েছিলেন তিনি। তবে যুদ্ধদিনের সাক্ষী হওয়া অন্য বাঙালি নারীদের মতোই শেষ রক্ষা হয়নি কাঁকন বিবিরও।
হ্যাঁ তিনি বাঙালি নন, তিনি খাসিয়া নারী। খাসিয়া মুক্তি বেটি হিসেবেই তিনি অধিক পরিচিত তাঁর এলাকায়। জাতিগত পরিচয়ের বাইরে তিনি নিজেকে মানুষ হিসেবে দাঁড় করিয়েছিলেন মুক্তির কাতারে। কাঁকন বিবি প্রমাণ করেছেন, তিনি বাংলার। তিনি মানুষের। তিনি মানবতার।
কাকাঁত বা কাঁকনের প্রথমে বিয়ে হয়েছিল ইস্ট পাকিস্তান রাইফেলসের সেনা পাঞ্জাব প্রদেশের আব্দুল মজিদ খানকে। সেটি সম্ভবত ১৯৫৮ কি ১৯৫৯ সালে।বিয়ের পর কাঁকন বিবি হিসেবে নাম হয়। মজিদ খান বিভিন্ন সময় বিভিন্ন স্থানে বদলিও হতেন। কাঁকন বিবিকেও তিনি সাথে নিয়ে যেতেন তখন। বিবাহিত জীবনের আট বছরে ঘরে তিনটি সন্তান জন্ম নেয়। কিন্তু জন্মের পরপরই মারা যায় তারা।
একাত্তরের শুরুতে কাঁকন বিবির স্বামী তার দেশ পাকিস্তানকে রক্ষা করতে ব্যস্ত হয়ে পড়েন, ভুলে যান স্ত্রী কাঁকনের কথা। এই অবস্থায় কাঁকন বিবি অর্থনৈতিক ও মানসিক সমস্যার সম্মুখীন হয়ে হন্যে হয়ে খুঁজতে শুরু করেন। তখন পর্যন্ত এই যুদ্ধ এবং যুদ্ধের কারণ নিয়ে মাথা ঘামানের মতো অবস্থা তাঁর ছিলনা। তবে এই খোঁজার মধ্যে দিয়েই কাঁকন বিবি আবিস্কার করেন ভয়ানক এক পৃথিবী। দেখেন শ্রেষ্ঠ জল্লাদখানাগুলোর অত্যাচার। এক পর্যায়ে মজিদ খান সিলেট আখালিয়া ক্যাম্পে থাকা অবস্থায় কাঁকন বিবিকে ছেড়ে উধাও হয়ে যান।
পরে কাঁকন ফিরে আসেন বোনের সংসারে। মজিদ খানও তাঁর কোনো খোঁজ-খবর নেয়নি। তবে তাঁর কারণেই পাকিস্তানি বাহিনীর হাতে ধরা পড়ার পর জীবন বাঁচে কাঁকনের।
যুদ্ধের আগে কাঁকন বিবির আবার বিয়ে হয় কৃষক শাহেদ আলীর সঙ্গে। জন্ম নেয় সন্তান সখিনা বিবি।
এর মধ্যেই শুরু হয়ে যায় মুক্তিযুদ্ধ। সুনামগঞ্জ-সিলেট অঞ্চলটি ছিল পাঁচ নম্বর সেক্টরের অধীন। এই সেক্টরের কমান্ডার ছিলেন লে. কর্নেল মীর শওকত আলী। কাঁকন বিবি যে গ্রামে থাকতেন তার পাশেই মুক্তিযোদ্ধাদের একটি ক্যাম্প স্থাপন করা হয়। আবার এই ক্যাম্প থেকে খানিকটা দূরেই ছিল পাকিস্তানীদের ক্যাম্প। যা স্থানীয়ভাবে টেংরা ক্যাম্প নামে পরিচিত ছিল।
মীর শওকত আলী একদিন মুক্তিযোদ্ধার ক্যাম্প পরিদর্শনে এসে কাঁকন বিবিকে পাকিস্তানীদের ক্যাম্প থেকে খবর সংগ্রহের কাজে লাগানোর জন্য উৎসাহিত করেন। রাজি হয়ে যান কাঁকন।
বুদ্ধি খাটিয়ে একটি ময়লা ও ছেঁড়া কাপড় পরে একদিন দিনের বেলায় ভিক্ষা করার নাম করে ঢুকেন টেংরা ক্যাম্পে। কৌশলে তথ্য সংগ্রহ করেন। পাকিস্তানি সেনারা কিছু ময়দা ও আটা ভিক্ষা দেয়।
মীর শওকত আলী একদিন মুক্তিযোদ্ধার ক্যাম্প পরিদর্শনে এসে কাঁকন বিবিকে পাকিস্তানীদের ক্যাম্প থেকে খবর সংগ্রহের কাজে লাগানোর জন্য উৎসাহিত করেন। রাজি হয়ে যান কাঁকন।
বুদ্ধি খাটিয়ে একটি ময়লা ও ছেঁড়া কাপড় পরে একদিন দিনের বেলায় ভিক্ষা করার নাম করে ঢুকেন টেংরা ক্যাম্পে। কৌশলে তথ্য সংগ্রহ করেন। পাকিস্তানি সেনারা কিছু ময়দা ও আটা ভিক্ষা দেয়।
পরের দিন কাঁকন বিবি একই কায়দায় ঢুকেন টেংরা ক্যাম্পে। এ সময় তাকে আটকে ফেলা হয়। কিন্তু নির্যাতন শেষে তাকে ছেড়ে দেয়া হয়।
এর মধ্যে পাকিস্তানি ক্যাম্পে যাওয়ায় স্বামী শাহেদ আলী ছেড়ে দেন কাঁকনকে।
টেংরা ছাড়াও সুনামগঞ্জ, সিলেট,গোবিন্দগঞ্জ, জাউয়া বাজার ক্যাম্পে গিয়ে সব তথ্য এনে মুক্তিযোদ্ধাদের জানাতে থাকেন কাঁকন। আর তার দেয়া তথ্যে চালানো হয় বেশ কিছু অভিযান।
এর মধ্যে টেংরা ক্যাম্পে রাজাকাররা টেংরা ক্যাম্পে কাঁকনের বিষয়ে তাদের সন্দেহের কথা জানিয়ে দেয় পাকিস্তানিদের। তার ভগ্নিপতি মুক্তিযুদ্ধের সমর্থক হওয়ায় তাকে হত্যার কথাও জানায় তারা।
এর মধ্যে পাকিস্তানি ক্যাম্পে যাওয়ায় স্বামী শাহেদ আলী ছেড়ে দেন কাঁকনকে।
টেংরা ছাড়াও সুনামগঞ্জ, সিলেট,গোবিন্দগঞ্জ, জাউয়া বাজার ক্যাম্পে গিয়ে সব তথ্য এনে মুক্তিযোদ্ধাদের জানাতে থাকেন কাঁকন। আর তার দেয়া তথ্যে চালানো হয় বেশ কিছু অভিযান।
এর মধ্যে টেংরা ক্যাম্পে রাজাকাররা টেংরা ক্যাম্পে কাঁকনের বিষয়ে তাদের সন্দেহের কথা জানিয়ে দেয় পাকিস্তানিদের। তার ভগ্নিপতি মুক্তিযুদ্ধের সমর্থক হওয়ায় তাকে হত্যার কথাও জানায় তারা।
১৯৭১সাল,জুন মাসে দোয়ারাবাজার সীমান্তে পাকবাহিনী ও মুক্তিযুদ্ধাদের মধ্যকার তুমুল লড়াইয়ে মুক্তিবাহিনী হেরে গেলে অনেকের সাথে এই মহিয়সী নারীকেও আটক করে ক্যাম্পে নিয়ে যায় পাকিস্তানি হানাদাররা ।
দিনের পর দিন চলতে থাকে পাকি নরপিশাচ আর রাজাকার আলবদর কর্তৃক তাঁর উপর অমানুষিক নির্যাতন। ভেঙে না পড়ে প্রতিশোধের আগুনে ফুঁসে উঠতে থাকেন এই বীরাঙ্গনা।
একপর্যায়ে হানাদার বাহিনী ছেড়ে দিলে পরিচয় হয় মুক্তিযোদ্ধা রহমতের সাথে। তিনি নিয়ে যান সেক্টর কমান্ডার মীর শওকত আলীর কাছে। শুরু হয় প্রতিশোধের এক নতুন অধ্যায়। জীবনের রঙ্গমঞ্চে জীবন বাজি রেখে,যেমন খুশি তেমন সাজে, কখনো পাগল কখনো ভবঘুরের বেশে পাকবাহিনীর গতিবিধির খবর পৌঁছে দিতেন মুক্তিবাহিনীর কাছে। এসব তথ্যের ভিত্তিতে বেশ কয়েকটি অপারেশন সফল করতে সক্ষম হন মুক্তিযোদ্ধারা।
একপর্যায়ে হানাদার বাহিনী ছেড়ে দিলে পরিচয় হয় মুক্তিযোদ্ধা রহমতের সাথে। তিনি নিয়ে যান সেক্টর কমান্ডার মীর শওকত আলীর কাছে। শুরু হয় প্রতিশোধের এক নতুন অধ্যায়। জীবনের রঙ্গমঞ্চে জীবন বাজি রেখে,যেমন খুশি তেমন সাজে, কখনো পাগল কখনো ভবঘুরের বেশে পাকবাহিনীর গতিবিধির খবর পৌঁছে দিতেন মুক্তিবাহিনীর কাছে। এসব তথ্যের ভিত্তিতে বেশ কয়েকটি অপারেশন সফল করতে সক্ষম হন মুক্তিযোদ্ধারা।
কিন্তু জীবন তাঁর আরও ত্যাগের! আরও কণ্টকময়! গুপ্তচরবৃত্তি করতে গিয়ে একদিন বাংলাবাজারে পাকবাহিনীর হাতে আবারও ধরা পড়েন এই বীরাঙ্গনা।
শুরু হয় নির্যাতনের স্ট্রীমরোলার । একটানা ৭ দিন বিবস্ত্র করে চালানো হয় পাশবিক নির্যাতন। লোহার রড গরম করে তাঁর নরম আদুরে শরীরটার বিভিন্ন স্পর্শকাতর জায়গায় নরক চিহ্ন এঁকে দিতে থাকে হায়েনারা। যা আজও তাঁকে নাড়া দেয়! আজও শরীরে সেই নরক চিহ্ন বয়ে বেড়ান!
অজ্ঞান অবস্থায় একসময় মৃত ভেবে পাকিস্তানিরা তাঁকে ফেলে যায়। ৭ দিন পর জ্ঞান ফিরে এলে মুমূর্ষু এই বীরাঙ্গনাকে বালাট সাব সেক্টরে নিয়ে চিকিৎসার ব্যবস্থা করানো হয়।
অসম সাহসিনী এই নারী সুস্থ হবার পর আমুল বদলে যান! চিকিৎসা শেষে দেশে ফিরে এসেই পাকিস্তান বধের নেশায় আরও দৃঢ় প্রতিজ্ঞ, আরও অবিচল লক্ষ্যে প্রশিক্ষণ নেন অস্ত্র চালনার। শুরু হয় অস্ত্র হাতে জীবনের আরেক অধ্যায়। পাকিস্তানি হায়েনাদের বিরুদ্ধে সশস্ত্র সংগ্রাম।
১৯৭১ সালের নভেম্বর মাস, টেংরাটিলায় পাকবাহিনীর সাথে সম্মুখযুদ্ধে লিপ্ত হন এই বীরাঙ্গনা । বিদ্ধ হন গুলির আঘাতে। সুস্থ হয়ে আবারো অস্ত্র হাতে যুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়েন। মুক্তিবাহিনীর সাথে একে একে অংশগ্রহণ করতে থাকেন আমবাড়ি, বাংলাবাজার, টেবলাই, বলিউরা, মহব্বতপুর, বেতুরা, দূর্বিনটিলা, আধারটিলা সহ প্রায় ৯টি সম্মুখযুদ্ধে।
এতোক্ষণে নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন,কে ছিলেন একাত্তরের এই অকুতোভয় গুপ্তচর আর বীর নারী যোদ্ধা? হ্যাঁ, তিনি আমাদের কাঁকন বিবি। খাসিয়া সম্প্রদায়ের মুক্তির বেটি বলে পরিচিত আমাদের অগ্নিকন্যা কাঁকন বিবি।
এতোক্ষণে নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন,কে ছিলেন একাত্তরের এই অকুতোভয় গুপ্তচর আর বীর নারী যোদ্ধা? হ্যাঁ, তিনি আমাদের কাঁকন বিবি। খাসিয়া সম্প্রদায়ের মুক্তির বেটি বলে পরিচিত আমাদের অগ্নিকন্যা কাঁকন বিবি।
দেশকে যিনি এতোটা দিয়েছেন,দেশের জন্য এতোটা ত্যাগ স্বীকার করেছেন, জীবন বাজি রেখে যিনি পাকিস্তানিদের পরাজয় আনতে ভূমিকা রেখেছেন, সেই কাঁকন বিবি জীবন যুদ্ধে পরাজিত, নিঃস্ব হয়ে বেঁচে ছিলেনএই স্বাধীন বাংলার মাটিতেই!
স্বাধীনতার পর অভিমানে বেছে নেন এক নিভৃত জীবন। চলে যান লোকচক্ষুর সম্পূর্ণ অন্তরালে। ১৯৯৬ সালে সাংবাদিক রনেন্দ্র তালুকদার পিংকু বাংলার এই মাকে আবিষ্কার করেন ভিক্ষারত অবস্থায়।
অসামান্য অবদানের জন্য ১৯৯৬ সালে বীরপ্রতীক খেতাব পান তিনি।একাত্তরের সেই অসম সাহসী নারী, বীরমাতা, মুক্তিযোদ্ধা কাঁকন বিবি। ভালোবেসে এই মাকে মানুষ ‘মুক্তিবেটি’ নামে ডাকত!
আজ মুক্তিবেটির চলে যাওয়ার দিন।যতদিন লাল সবুজ থাকবে তুমি থাকবে তার গরবিনী মা হয়ে।
EmoticonEmoticon