বুধবার, ১০ এপ্রিল, ২০১৯

তনুদের ভাল্লুকে খাচ্ছে নিয়মিতভাবে।

গত সপ্তাহে অনেকগুলো ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। যার বেশিরভাগই ঘটিয়েছে হুজুর টাইপের লোকজন। এটা এদেশে নিত্য নৈমিত্তিক। প্রসঙ্গ ভিন্ন।

এই গত সপ্তাহেই একই সঙ্গে একটু ভিন্ন তিনটি ঘটনা ঘটেছে। খুবই বিপদজনক।
যৌন হয়রানির ঘটনা প্রকাশ করায় ছাত্রীকে আগুনে পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে।
তিনি একজন অধ্যক্ষ। মহিলা মাদ্রাসার। তিনি হুজুর টাইপের মানুষ।
ডেমরায় সাত বছরের এক বাচ্চাকে খুন করা হয়েছে মসজিদের ভেতর। ধর্ষণ গোপন করার চেষ্টা? হতে পারে?
যাই হোক, তারা মানে খুনিরা শুধু হুজুর টাইপের ছিল তা নয়, তারা ছিল সেই মসজিদেরই ইমাম এবং মুয়াজ্জিন।
তৃতীয় ঘটানাটা নড়াইলের। আইডি হ্যাকড করে, প্রকাশ্যে ঘোষণা দিয়ে এক মুমিন ধর্ম অবমাননার অভিযোগ এনে ফাঁসিয়েছে রাজকুমার নামের এক হিন্দু যুবককে। বিপুলসংখ্যক হুজুর টাইপের লোকজন মিছিল করেছে তার ফাঁসির দাবীতে। পুলিশ সেই হ্যাকার হুজুরকে না ধরে গ্রেফতার করেছে নিরীহ রাজকুমারকে।

এসব চলমান। ইতিমধ্যেই বহু ধর্ষণের ঘটেছে। মাদ্রাসাগুলো হয়ে উঠছে ধর্ষণের আখড়া। প্রতিদিনই হুজুর কতৃক ছাত্রছাত্রীদের ধর্ষণের খবর শিরোনাম হচ্ছে পত্রিকায়। বাবা কতৃক মেয়েকে ধর্ষণের ঘটনাও ছাড়িয়েছে সমস্ত রেকর্ড।

তনুদের ভাল্লুকে খাচ্ছে নিয়মিতভাবে।

কাবার ছবির উপর শিবের মূর্তি স্থাপনের ছবির কারসাজি ছিল একজন বিশ্বাসী মুসলমানের। পুলিশ তাকে গ্রেফতার করেছে।
ঐ ঘটনার উছিলায় হিন্দুরা হয়ে গিয়েছিল গনিমতের মাল। সফলভাবে হামলা পরিচালনা করা হয়েছে।
মূল ঘটনা ফাঁস হয়ে যাবার পর মুসলমানরা বরাবরের মতোই নীরব। তারা অনুতপ্তও নয় বরং তৃপ্ত। খেল খতম পয়সা হজম।
গল্পটা আরো কুৎসিত রূপ নিয়েছিল যখন হাবিবুর রহমান এবং তার বন্ধুরা কতগুলো কোরআনের উপর মলমূত্র ত্যাগ করে হিন্দুদের উপর দোষ চাপিয়ে দিতে চেয়েছিল। ভাগ্যিস তারা পুলিশের হাতে ধরা পড়েছিল।
এই ঘটনা এত মারাত্বক এবং ভয়াবহ এক ঘটনা ছিল যে ভাবতেই গা শিউরে ওঠে। পুরো বাংলাদেশ তথা সারা বিশ্বেই হিন্দুদের উপর ভয়ঙ্কর হামলা শুরু হয়ে যেতে পারত। হয়তো শুরু হয়ে যেত ভয়াবহ সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা কিংবা যুদ্ধও। এটা এক কুৎসিততম পরিকল্পনা ছিল নিঃসন্দেহে। এই ঘটনাটিকে হেসে উড়িয়ে দেয়া চরম বোকামি। এরা ধর্ম তথা গনিমতের মালের লালসায় করতে পারে না সম্ভবত এমন কোন কাজ নেই। 
যাইহোক, আবারও খেল খতম। সেই ভদ্রলোকেরা নিশ্চুপ যারা সামান্য হোলি খেলাকে সাম্প্রদায়িক কাজে ব্যবহার করতে চেয়েছিল। শুধু কি অশিক্ষিত? ডক্টর তুহিন মালিকও এই হোলি খেলাকে নিয়ে সাবোটাজ করতে চেয়েছিল।
নতুন করে শিকার হলো এবার রাজকুমার।

এগুলো স্বাভাবিক। আমাদের পাশে যেহেতু ইসলাম আছে, আছে অন্যান্য ধর্মবিশ্বাসও। সুতরাং সেহেতু ইতরামি স্বাভাবিক।
কিন্তু অস্বাভাবিক একটি বিষয় আছে এবং সেটিই সবচেয়ে বিপদজনক।
আমাদের নীরবতা। আমাদের দায়িত্বে অধিষ্ঠিতদের নীরবতা।
আমার সেইসব বউয়ের ভাই বোনেরা দেদারছে চোখ বন্ধ করে কবিতা লিখছে। বলছে, কবিদের সমাজ নির্মোহ হতে হয়। সমাজ পরিবর্তনের দায়িত্ব কবির নয়।

আরে শালা শালীর দল, তোদের কবিতা কে পড়বে যদি মানুষই না থাকে?


EmoticonEmoticon