রবিবার, ৩০ এপ্রিল, ২০১৭

মে দিবসের চেতনা কি ?

আট ঘন্টা কর্মদিবস এই দাবীর অন্তরালে ছিল শোষণ মুক্তি ও মজুরি দাসত্বের উচ্ছেদের প্রতিজ্ঞা । ১৮৮৬ সালের মে দিবসের সেই রক্তাক্ত সংগ্রামের নেতাদের দ্রুত গ্রেফতার এবং বিচারের ব্যবস্থা করে মালিক এবং সরকার । ৭ আগস্ট ১৮৮৭ সালে অন্যতম আসামী অগাস্ট স্পাইজ আদালতকে উদ্দেশ্য করে বলেছিলেন, " আপনারা প্রতিবাদীর বিচার চান, আমি প্রতিবাদী । বিচার করুন । সম্মানিত বিচারক, আপনার রায় ঘোষণা করুন । বিশ্ববাসী জানুক ১৮৮৬ সালে ৮ ব্যক্তিকে মৃত্যুদন্ডাদেশ দেয়া হলো, কারণ তারা স্বাধীনতা, ন্যায় বিচার, উন্নততর ভবিষ্যতের জন্য তাদের বিশ্বাস অটুট রেখেছিল । ....  এবার আমার সাথে চলুন ! এ শহরে যারা সম্পদ সৃস্টি করেছে তাদের দেখবেন । হকিং উপত্যকার আধাপেট খেয়ে কাজ করে যাওয়া শ্রমিকদের দেখবেন, চলুন । মঙ্গাহেলা উপত্যকাসহ দেশের আরো অনেক এলাকায় নিম্নবর্গের মানুষগুলোকে দেখবেন চলুন । রেলের রাস্তা ধরে একবার হাঁটবেন , চলুন । আর তারপর আমাকে বলুন , যে নির্দেশ আজ আপনি উচ্চারণ করেছেন তা কার জন্য বা কিসের জন্য ? এ নির্দেশ মানা হচ্ছে হাজার হাজার শিশু ও নারীকে কারখানার মধ্যে মেরে ফেলবার এক পদ্ধতিগত উদ্যোগ গ্রহন । এর মানেই হচ্ছে অসহিষ্ণুতা বাড়িয়ে দেয়া, একটি গোষ্ঠীর লোভকে আরও উস্কে দেয়া, এর মানেই হচ্ছে এক হাতে দু:খ দুর্দশা অভাব ও অক্ষমতা এবং অন্য হাতে ধ্বংস, আলস্য, লোভ- লালসা এবং আগ্রাসন তুলে দেয়া ।"
১৮৯০ সালে ১ মে নিউইয়র্কের ইউনিয়ন স্কয়ারের সমাবেশের প্রস্তাবে বলা হয়েছিল , " আট ঘন্টা কাজের দাবী পুরনের সংগ্রাম আমরা চালিয়ে যাব । কিন্তু কখনো ভুলবো না আমাদের শেষ লক্ষ্য হলো মজুরি ব্যবস্থার উচ্ছেদ সাধন ।"
মালিক শ্রেনি যতই আড়াল করার চেস্টা করুক, মে দিবসের সত্যিকার এই চেতনা পুজিবাদী শোষণমূলক  ব্যবস্থা উচ্ছেদের চেতনা, যা লেখা আছে মে দিবসের রক্ত পতাকায় , শ্রমিক শ্রেনির মধ্যে তা জেগে উঠবেই ।


EmoticonEmoticon