ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পাশে দনিয়া বিশ্ববিদ্যালয় এর সামনে ফুটওভার ব্রীজ নির্মানের দাবিতে স্থানীয় ছাত্রদের আন্দোলন দীর্ঘ দিন ধরে। ছাত্রদের এই আন্দোলের কারনেই প্রশাসন আজ বাধ্য হয়ে ফুটওভার ব্রীজ নির্মান কাজ শুরু করেছে।যাত্রাবাড়ীর অদূরে শনির আখড়ার এই রাস্তাটি প্রতিদিন প্রায় ১লক্ষ লোক পারাপার হয়। যা অত্যান্ত বিপদজনক ও ঝুকিপূর্ন।এই পথচারীদের অধিকাংশই বিভিন্ন স্কুল কলেজের শিক্ষার্থী।প্রায় প্রতিদিনই এখানে কোন না কোন দূর্ঘটনা ঘটে।কত কয়েক বছরে এখানে প্রায় ৫শতাধিক লোক প্রান দিয়েছে।তাই ছাত্ররা তাদের নৈতিক কর্তব্য হিসেবে এই আন্দোলন গড়ে তোলে।
এই আন্দোলনের মাধ্যমে আবারও প্রমানিত হল,আন্দোলন ছাড়া এই দেশে কোন কিছুই অর্জিত হয়নি হবেওনা।অভিন্দন ওই সকল শিক্ষার্থীদের যারা ফুটওভার ব্রীজের দাবিতে ক্লাস না করে রাজপথে আন্দোলন করেছে। এখানে সাধারন ছাত্রাছাত্রীদের ঐক্যবদ্ধ করার জন্য অগ্রনী ভূমিকা পালন করেছে 'দনিয়া বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ ছাত্র পরিষদ' ও 'সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট '(যাত্রাবাড়ী-কদমতলী থানা শাখা)। দেয়াল লিখন, পোস্টার লাগানো ও লিফলেট বিতরন করে জনমত সংগ্রহে ছাত্র ফ্রন্টের ভূমিকা অপরিসীম।কৃতজ্ঞতা ঢাবি শিক্ষার্থীদের প্রতিও।
আশা করছি আর কিছুদিন পরেই ফুটওভার ব্রীজ দিয়ে পথচারীরা পারাপার হতে পারবে।
পরিশষে এ বিজয়ের কৃতিত্ব আমি সকল ছাত্রদের দিচ্ছি। সেইসাথে যারা বলে "মিছিল মিটিং আন্দোলন করে কি হবে?"তাদেরকে আজ চোখে আঙুল দিয়ে দেখানো উচিত যে ছাত্ররা তাদের ন্যায্য দাবি আন্দোলনের মাধ্যমেই বাস্তবায়ন করতে পারে।এবং এই আন্দোলন তার জলজ্যান্ত উদাহরন।এই আন্দোলন ছাত্রদের ভবিষ্যত যেকোন ন্যায্য দাবিতে আন্দোলন সংগ্রামে অনুপ্রেরনা দেবে।
EmoticonEmoticon