বুধবার, ৩ মে, ২০১৭

জীবিকার জন্য কাজ করতে এসে জীবন হারায় শ্রমিক.....

৮ঘন্টা কর্মদিবস , বাঁচার মত মজুরী, ট্রেড ইউনিয়ন অধিকার, কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তা, ক্ষতিপুরনের মানদন্ড নির্ধারনের দাবী নিয়ে আন্দোলন করছে বাংলাদেশের শ্রমিকরা । শ্রমিকের কাছে মালিক দাবী করে সর্বোচ্চ কাজ ও দক্ষতা কিন্তু মজুরী দেয় সর্বনিম্ন । কর্মক্ষেত্রগুলো কেন শ্রমিকের জন্য নিরাপদ হয়ে উঠছে না একথা আজ সবাই ভাবছেন । ২০০৮ সাল থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত কর্মক্ষেত্রে মৃত্যুবরণ করেছেন ৫৩৩৯ জন শ্রমিক । ২০১৬ সালে কর্মক্ষেত্রে মৃত্যুবরণ করেছেন ৬৯৯ জন ।
পরিবহন সেক্টরে - ২৪৯ জন
নির্মান সেক্টরে - ৮৫ জন
মৎস্য খাতে - ৫২ জন
কৃষি খাতে - ৪৬ জন
ফয়েল ও প্যাকেজিং কারখানা - ৩৯ জন
দিনমজুর - ৩৮ জন
গৃহশ্রমিক - ২৬ জন
ওয়ার্কসপ শ্রমিক - ১১ জন
তৈরি পোষাক শিল্প - ১০ জন
রাইস মিল - ১০ জন
বিদ্যুৎ কর্মী - ১০ জন
জাহাজ ভাঙ্গা শিল্প - ৮ জন ।
এত গেল যারা মৃত্যুবরণ করেছেন তাদের সংখ্যা ; আহত হয়ে, পঙ্গু হয়ে দু:সহ জীবন যাপন করছেন যে কত শ্রমিক তার হিসেব করা কঠিন ।
আগুনে পুড়ে, ভবন ধসে, বিদ্যুতায়িত হয়ে, গাড়ীচাপা বা গাড়ী দুর্ঘটনায় মৃত্যুবরণ করার ঘটনা চোখে পড়ে সহজেই কিন্তু যে মৃত্যু আসে নি:শব্দে তার খবর পাওয়া বা রাখা যে আরও কঠিন !
শ্রমিক কখনো মরে তাৎক্ষণিকভাবে কখনো মৃত্যুবরণ করে তিলে তিলে ।
বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার হিসেবে প্রতি একলাখ মানুষের মধ্যে ২২৫ জন যক্ষা রোগে আক্রান্ত হয় ।
জাতীয় যক্ষা নিয়ন্ত্রন কর্মসুচীর কর্মকর্তা প্রদত্ত হিসেবে দেখা যাচ্ছে গার্মেন্ট শ্রমিকদের মধ্যে যক্ষা আক্রান্তদের হার প্রতি একলাখে ৯৬০জন । অর্থাৎ গার্মেন্ট শ্রমিকদের যক্ষায় আক্রান্ত হওয়ার হার সাধারন মানুষের চাইতে ৪ গুন বেশি । শ্রমিকের শ্রমের ফসল ভোগ করে সমাজের সবাই কিন্তু রোগের বোঝা বহন করে শ্রমিক নিজে । উন্নয়নের ঝলমলে আলোর নিচে ক্ষয়রোগীর জীর্ন দেহ কি দেখা যায় ?


EmoticonEmoticon