ছাত্রদের এই দাবি যৌক্তিক এবং অত্যান্ত তাৎপর্যপূর্ণ। কেননা যাত্রাবাড়ী -কদমতলী-ডেমরা-শ্যামপুর সহ এই বৃহৎ অঞ্চলে কোন সরকারী কলেজ নেই।কিন্তু ব্যাঙ এর ছাতার মত বেসরকারী কলেজ এর কোন অভাব নাই।১০/১২জন শিক্ষার্থী নিয়ে বিভিন্ন ব্যবসায়ী ব্যক্তিগন নেমে পড়েন বর্তমান বাংলাদেশের সবচেয়ে লাভজনক এই ব্যবসায়।আমরা যদি এই অঞ্চলের মানুষের দিকে তাকাই তাহলে নিম্ম-বিত্ত ও নিম্ম-মধ্যবিত্ত শ্রেনীর সংখ্যাই বেশি দেখতে পাই। এদের জীবন জীবিকার মানও খুব একটা ভাল না।জলাবদ্ধতায় ডুবে থাকে বছরের প্রায় অর্ধেক সময়।চারদিকে উন্নয়নের হাওয়া বইলেও এখানে কর্তামহলের খুব একটা নজর পড়েনা।কিন্তু ভোটাররের সংখ্যা কিন্তু কম নয় কোন অংশেই।অত্যান্ত ঘনবসতিপূর্ন এই অঞ্চলে সরকারী মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাত্র একটি।অপরদিকে প্রাথমিক বিদ্যালয়ও হাতেগোনা কয়েকটি।এইসকল বিদ্যালয়ের আসন সংখ্যা সিমিত এবং দূরুত্ব অনেক। তাই বাধ্য হয়ে অভিভাবকগন তাদের সন্তানদের ভর্তি করান বেসরকারি কিংবা এমপিও ভুক্ত স্কুল কলেজে।যা অত্যান্ত ব্যায়বহুল এবং শিক্ষার মান নিয়েও প্রশ্ন করা যায়। মাদরাসার সংখ্যাও এখানে ঢাকার অন্যান্য অঞ্চলের থেকে বেশি বৈকি কম নয়।যার ফলস্বরুপ জঙ্গি গ্রেফতার হয়ে বিভিন্ন সময়ে পত্রিকার শিরোনাম হয়েছে এই জায়গাটি।
সে যাইহোক এসব স্কুল-কলেজ-মাদরাসায় বড়জোর উচ্চ মাধ্যমিক পর্যন্ত পড়ানো হয়।তাই উচ্চ শিক্ষা গ্রহন করতে হলে তাদেরকে যেতে হয় ঢাকার একপ্রান্ত থেকে অারেকপ্রান্তে।যা রীতিমত হয়রানি।তবুও যেসকল শিক্ষার্থী ঐসকল পাবলিক ও সরকারি কলেজে পড়ার সুযোগ পায়না তাদের বাধ্য হয়ে ভর্তি হতে হয় দনিয়া কলেজ ও আর কে চৌধুরীর মতো হাতেগোনা কয়েকটি কলেজে।যেখানে কাঙ্খিত বিষয়ে পড়তে পারেনা অধিকাংশ শিক্ষার্থী।আর খরচের কারনেও ঝরেপরে অনেকে।তাই আজকে দনিয়া কলেজের প্রায় ৪হাজার শিক্ষার্থী রাজপথে নেমেছেন তাদের কলেজকে সরকারিকরনের দাবিতে।এই দাবি সময়ের দাবি।এই দাবি ছাত্রদের প্রানের দাবি। সকল ছাত্ররা স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহন করছে এই আন্দোলনের সাথে।তারা জানে শিক্ষা কোন পন্য নয় শিক্ষা তাদের অধিকার। আর এই অধিকার আদায় করতে হলে রাজপথে নামতে হয়।তাই আজ তারা রাজপথে বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে এগিয়ে নিচ্ছে আন্দোলনের স্রোতকে।
কিন্তু কিছু স্বার্থনান্মেষী মহল চাইবে না ছাত্রদের এই দাবি বাস্তবায়ন হউক।এজন্যে তারা নানা ভাবে আন্দোলনকে ব্যহত করার চেস্টা করবে।পেটোয়া বাহিনী লেলিয়ে দিবে তাই বলে আন্দোলন থামিয়ে দেওয়া চলবে না।সঠিক নেতৃত্বদান করে অকুতোভয়ীর মতো আন্দোলন চালিয়ে যেতে হবে। এর আগে ফুলবাড়িয়া সহ বিভিন্ন স্থানে ছাত্রদের আন্দোলন পন্ডুল করার নজির আমরা দেখিছি কিন্তু তাই বলে আমাদের দমিয়ে গেলে চলবে না।সকল বাধা অতিক্রম করেই এগিয়ে যেতে হবে লক্ষ্যের দিকে।বিজয় আমাদের সুনিশ্চিত।
EmoticonEmoticon