বিংশ শতাব্দী ও একবিংশ শতাব্দীতে সারা দুনিয়া জুড়ে জ্ঞান বিজ্ঞানের যে প্রসার ঘটেছে তার হাওয়া সম্ভবত ভারতীয় উপমহাদেশে খুব পৌছাতে পারেনি।ফলে এসব অঞ্চলে এখনো মানুষজন ভূত-প্রেত জ্বীন-পরী,আত্মা, জাতিস্মর,পীর,ফকির,ওঝা,ঝাড়- ফুক,পানিপড়া,তেলপড়া ইত্যাদির ওপর অগাধ বিশ্বাস নিয়ে নানা ধরনের ভোগান্তির শিকার হচ্ছে।আর লাভবান হচ্ছে একধরনের ভন্ড প্রতারক ধর্মগুরু ও ধর্মব্যবসায়ীরা।অসুখ বিসুখ হলে এখনো মানুষজন হুজুর,সাইজী আর বাবা দের কাছে ধরনা দেয়।বড় বড় শহরের বাসিন্দারা আধুনিকতার ঝোকে হলেও পরিবর্তনের চেষ্টা করছে।ফলে শারীরিক কোন অসুখ হলে জটিল অবস্থায় হাসপাতালে যায়। কিন্তু তাদের মধ্যেও অনেকে মনোবিজ্ঞান বলতে যে একটা বিষয় আছে সেটাই জানেন না।শরীর এর মতো মনেরও যে অসুখ হতে পারে এই কথা তারা মানতে নারাজ।
কিন্তু কেউ কেউ আছেন যারা এই সমস্ত ঘোর অন্ধকার অঞ্চলে আলোর দূত হয়ে আলো ছড়ানোর আপ্রাণ চেষ্টা করছেন।তাদেরই একজন হলো "প্রবীর ঘোষ"।যিনি এই অঞ্চলের মানুষকে গোড়ামি,কুসংস্কার,অন্ধকার,অজ্ঞতা র ভেরাজাল থেকে বের করে আনতে বিজ্ঞানের আলো নিয়ে মাঠে-ঘাটে,পথে- প্রান্তরে ঘুরে বেড়াচ্ছেন।
মনোবিজ্ঞানটাকে মানুষের মাঝে খুব সহজভাবে পৌছে দিচ্ছেন।যেকোন বিভাগের যেকোনো ছাত্র খুব সুন্দর ও সহজভাবে মনোবিজ্ঞান জানতে প্রবীর ঘোষের বইগুলো ও লেখাগুলো পড়তে পারেন।শুধু মনোবিজ্ঞান নয় বিজ্ঞানের সকল শাখায়ই ওনার বিচরণ আছে।তবে সবচেয়ে উল্ল্যেখযোগ্য কীর্তি হলো "অলৌকিক নয় লৌকিক"। এপর্যন্ত বইটির আটটি খন্ড বের হয়েছে।বইটির ছয় নম্বর খন্ড পর্যন্ত অনলইনে পিডিএফ আকারে পাওয়া যায়।আর বাকীগুলো পাওয়া যাবে বুক সেলারদের কাছে।বইটিতে মনোবিজ্ঞানের সকল দিক নিয়ে আলোচনা করেছেন তিনি।তাছাড়া মানসিক রোগীদের চিকৎসার কেস স্টাডিও রয়েছে হুবহু।তাই আমাদের সকলেরই বইটা পড়া উচিত।
EmoticonEmoticon