মঙ্গলবার, ৮ আগস্ট, ২০১৭

বেকারত্ব হতাশা !

বেকারত্ব হতাশা যে কত বড় কঠিন ব্যাধি তা একমাত্র সেই অনুভব করে যে বেকারত্ব অভিশাপ নিয়ে বেঁচে থাকে।আমাদের দেশে শিক্ষিত বেকারের আনুমানিক সংখ্যা ২২ লাখ।বেসরকারী হিসেবে সব মিলে ৪ কোটি।একজন বেকার শিক্ষিত যুবক বা যুবতি যখন চাকুরির জন্য হর্ণ হয়ে ঘুরে বেড়ায় দরজা থেকে দরজায়, তার পায়ের জুতো ক্ষয়ে যায় কিন্তু চাকুরি হয় না তখন বাধ্য হয় অনৈতিক সিদ্ধান্ত নিতে।তারপর সমাজের চোখে হয় তারা নষ্ট মানুষ,ছেলেরা হয় অন্ধকার জগতের বাসিন্দা আর মেয়েরা হয় এলিট পতিতা।পিছনের ইতিহাস খু্ঁজে না অন্ধ বধির সমাজ।আর যারা সৎ ভাবে শেষ লড়াই করে বাঁচার জন্য তারা হয়ে যায় সমাজ,পরিবার,আত্মীয় স্বজন,বন্ধু,প্রেমিক প্রেমিকাদের কাছে বোঝা,হতাশ আর নিরাশায় অবহেলিত জীবনে নেমে আসে বেঁচে না থাকার প্রতিশ্রুতি।কখনও কখনও কেউ আবার আত্ম হত্যার মত মর্মান্তিক পথ বেছে নেয়।এজন্য দায়ী সমাজ ও আমাদের রাষ্ট্র ব্যাবস্থা।পুঁজিবাদের বুর্জোয়া রাষ্ট্র ব্যাবস্থা কোনদিন বেকারত্ব সমস্যার সমাধান দিতে পারে না।কারণ এই রাষ্ট্র  মানুষকে গরীব ধনির বিশাল ব্যাবধানের দেয়াল গড়ে দিয়েছে।একদল চাটুকা দালাল শোষিত শাসন করে লুটে নিচ্ছে কোটি কোটি গরীবের রক্ত ঘামের টাকা।কালোটাকার বৈধ লাইসেন্স দিয়েছে এই রাষ্ট্র,সরকারী আমলা,এম,পি মন্ত্রীদের বেতন ভাতা চার গুণ বৃদ্ধি হওয়ার সাথে সাথে দুর্নীতি আর ঘুষের মাত্রা বেড়ে গেছে আটগুণ।এখন প্রকাশ্যেই চলছে দুর্নীতি আর ঘুষের নিলাম ডাক।জনগণ সর্বশান্ত হয়ে বুক ফাঁটিয়ে কাঁদছে কেউ শোনার মত নেই।বছরে বাংলাদেশ থেকে যে পরিমাণ টাকা পাচার হয় তা দিয়ে প্রতিবছর ৫০ লাখ বেকারের কর্মসংস্থানের ব্যাবস্থা করা সম্ভব। নৌকা,লাঙ্গল,ধানের শীষ,সব সাপের একই বি্ষ,বাঁচতে হতে সব তন্ত্র মন্রের একমাত্র সঠিক পথ সমাজতন্ত্র।


EmoticonEmoticon