টাঙ্গাইলের মধুপুরে এক তরুণীর লাশ বেওয়ারিশ হিসেবে দাফন করার পর তদন্ত করতে গিয়ে পুলিশ জানতে পেরেছে, চার দিন আগে চলন্ত বাসে দলবেঁধে ধর্ষণের পর ওই কলেজছাত্রীকে হত্যা করা হয়।
ছোঁয়া পরিবহনের একটি বাসে করে শুক্রবার রাতে সিরাজগঞ্জ থেকে ময়মনসিংহ যাওয়ার পথে নির্যাতন ও হত্যার শিকার হন ওই তরুণী।
ওই বাসের চালক, সুপারভাইজারসহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করার পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তাদের কাছ থেকে ধর্ষণ ও হত্যাকাণ্ডের রোমহর্ষক বিবরণ পাওয়ার কথা জানিয়েছেন ওসি।
নিহত রূপা খাতুনের বাড়ি সিরাজগঞ্জের তাড়াশে। ঢাকার আইডিয়াল ল কলেজে পড়ালেখা করার পাশাপাশি একটি কোম্পানির প্রোমশনাল ডিভিশনে কাজ করছিলেন তিনি। তার কর্মস্থল ছিল ময়মনসিংহ জেলা সদরে।
শুক্রবার রাত ১১টার দিকে টাঙ্গাইল-ময়মনসিংহ সড়কের পাশে মধুপুর উপজেলার পঁচিশ মাইল এলাকায় ওই তরুণীর লাশ পাওয়ার পর হত্যার আলামত থাকায় অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে একটি মামলা করে মধুপুর পুলিশ।
কিন্তু পরিচয় জানতে না পারায় ময়নাতদন্ত শেষে শনিবার বিকালে টাঙ্গাইল কেন্দ্রীয় কবরস্থানে বেওয়ারিশ হিসেবে তাকে দাফন করা হয়।
গণমাধ্যমে লাশ উদ্ধারের খবর পেয়ে সোমবার রাতে মধুপুর থানায় গিয়ে ছবি দেখে রূপাকে শনাক্ত করে তার পরিবার। পরে রূপার বড় ভাই হাফিজুর রহমান ছোঁয়া পরিবহনের শ্রমিকদের বিরুদ্ধে আরেকটি মামলা করেন।
হাফিজুর বলেন, শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষায় অংশ নিতে গত শুক্রবার বগুড়ায় যান তার বোন। পরীক্ষা শেষে এক সহকর্মীকে সঙ্গে নিয়ে ময়মনসিংহগামী ছোঁয়া পরিবহনের (ঢাকা মেট্রো ব-১৪-৩৯৬৩) বাসে ওঠেন।
ওই সহকর্মীর কর্মস্থল ঢাকায় হওয়ায় তিনি টাঙ্গাইলের এলেঙ্গায় নেমে যান। আর ওই বাসেই রূপার ময়মনসিংহে পৌঁছানোর কথা ছিল।
মরেছিস খুব ভাল হয়েছে। নেড়ি কুত্তার দেশে সারা বছর পুরুষ কুকুরের লালা ঝরতে থাকে, ধর্ষিতা না হওয়ার কৌশল শিখতে শিখতেই শেষ হত একটা জীবন। আবার শুয়োরের বাচ্চাদের মুখেই শুনতে হত সব পুরুষ এক নয়।
পুরুষ আর নেড়ি কুত্তার ভাদ্র মাস কোনদিন শেষ হয় না।
EmoticonEmoticon