লাট সাহেবের ৩ ঠ্যাং ওয়ালা কুত্তার পিছনে মাসে খরচ ৭৫ টাকা এবং ৮ সদস্য বিশিষ্ঠ বাংলার ব্রাক্ষ্মন পন্ডিতের বেতন ২৫ টাকা হলে, পন্ডিতের সমস্ত পরিবার লাট সাহেবের কুকুরের কটা ঠ্যাং এর সমান ?
~পাদটীকা, চাচা কাহিনী
পড়ে চোখ জলে ভরে যেত। পরক্ষণে
যেদিন গিন্নী আমাকে বললেন, আমার ড্রিংক করা দেখে নাকি ছেলেরা এসব শিখবে, আমি তখন তাঁকে বললাম, কেনো আমি যে বাইশটা ভাষা জানি সেখান থেকে দু'চারটা ভাষা ওরা শিখুক না??
হাসতেই হয় ।
সৈয়দ মুজতবা আলী তখন বেশ বিখ্যাত লেখক। প্রতিদিনই তাঁর দর্শন লাভ করতে ভক্তরা বাসায় এসে হাজির হয়। একদিন এক ভক্ত মুজতবা আলীর কাছে জানতে চাইলেন, তিনি কোন বই কী অবস্থায় লিখেছেন। মুজতবা আলী যতই এড়িয়ে যেতে চান, ততই তিনি নাছোড়বান্দা।
শেষে মুজতবা আলী সরাসরি উত্তর না দিয়ে বললেন, ‘দেখো, সুইস মনস্তত্ত্ববিদ কার্ল গুসতাফ জাং একদা তাঁর ডায়েরিতে লিখে রেখেছিলেন, কিছু লোক আমাকে জিজ্ঞেস করে, আমি কীভাবে লিখি।
এ ব্যাপারে আমাকে একটা কথা বলতেই হয়, কেউ চাইলে তাকে আমরা আমাদের সন্তানগুলো দেখাতে পারি, কিন্তু সন্তানগুলো উৎপাদনের পদ্ধতি দেখাতে পারি না।’
বিশ্বভারতীতে পড়াশুনা করার সময় একবার রবীন্দ্রনাথের হাতের লেখা নকল করে ভুয়া নোটিশ দিলেন, “আজ ক্লাশ ছুটি” .. ব্যাস যায় কোথায় সবাই মনে করল রবীন্দ্রনাথ ছুটি দিয়ে দিয়েছেন ।
সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় লিখেছেন 'লেখক সৈয়দ মুজতবা আলীর চেয়েও মানুষ সৈয়দ মুজতবা আলী কম বিস্ময়কর ছিলেন। যাঁরা দীর্ঘকাল ধরে তাঁর অন্তরঙ্গ ছিলেন, তাঁরা নিশ্চয়ই পরে সে সম্পর্কে লিখছেন। অত্যন্ত চঞ্চল এই মানুষটিকে কিছুতেই সাধারণ সংসারী মানুষদের মাপে আঁটানো যায় না।
প্রতিভা জিনিসটা খুব সুখের নয়; বরং এর জ্বালা আছে, এই জ্বালাতেই ইনি সারা জীবন ছটফট করেছেন।'
জীবনের গভীরতর ভেতর থেকে জীবনকে পর্যবেক্ষণের অন্তর্দৃষ্টি মুজতবার ছিল বলেই তাঁর পরিবেশিত হাস্যরসের মধ্যে পরিমিত জীবনময়তা ছিল।
আধুনিক বাংলা সাহিত্যের অন্যতম রম্যরচয়িতা বাঙালি সাহিত্যিক সৈয়দ মুজতবা আলীর ভূমিষ্ঠ দিনে জানাই বিনম্র শ্রদ্ধা ।
EmoticonEmoticon