দ অক্ষর দৈত্যনাশক , উ-কার বিঘ্ননাশক , রেফ রোগনাশক , গ পাপনাশক ও অ অক্ষর ভয়নাশক ।
দৈত্য বিঘ্ন রোগ পাপ ও ভয় নামক শত্রুর হাত থেকে যিনি রক্ষা করেন তিনিই দুর্গা ।
শব্দকল্পদ্রুম অনুসারে দুর্গ নামক অসুরকে যিনি বধ করেন তিনিই দুর্গা ।
বহু প্রাচীণ গ্রন্থে দুর্গা বৈচিত্র্যময় , রূপে মহিমায় শক্তিতে।তবে একটা অবধারিত মিল নিশ্চিত তিনি অসুরনাশিনী মা।
মা ? হ্যাঁ মা। সাহসে শক্তিতে মহত্বে মমতায় প্রেমে। বীণাপানি কিংবা লক্ষী যদি দুর্গার দুই কন্যা হত ,তবু আমরা তাদেরকে মা-ই ডাকতাম। তারা মা তাদের মহিমায়।
জীবনানন্দ দাশের বনলতা সেন যদি আপনার প্রেমিকা হতে পারে, হোমারের হেলেন যদি আপনার স্বপ্নের নায়িকা হতে পারে, তবে দুর্গা কেন মা হতে পারবে না?
দৈত্য বিঘ্ন রোগ পাপ ও ভয় নামক শত্রুর হাত থেকে যিনি রক্ষা করেন তিনিই দুর্গা ।
শব্দকল্পদ্রুম অনুসারে দুর্গ নামক অসুরকে যিনি বধ করেন তিনিই দুর্গা ।
বহু প্রাচীণ গ্রন্থে দুর্গা বৈচিত্র্যময় , রূপে মহিমায় শক্তিতে।তবে একটা অবধারিত মিল নিশ্চিত তিনি অসুরনাশিনী মা।
মা ? হ্যাঁ মা। সাহসে শক্তিতে মহত্বে মমতায় প্রেমে। বীণাপানি কিংবা লক্ষী যদি দুর্গার দুই কন্যা হত ,তবু আমরা তাদেরকে মা-ই ডাকতাম। তারা মা তাদের মহিমায়।
জীবনানন্দ দাশের বনলতা সেন যদি আপনার প্রেমিকা হতে পারে, হোমারের হেলেন যদি আপনার স্বপ্নের নায়িকা হতে পারে, তবে দুর্গা কেন মা হতে পারবে না?
কখনো দুই তিথির মিলন ঘটে। কখনো তিন। তিন তিথির মিলনকে ত্রাহস্পর্শ বলে । এটা তিথিক্ষয় ।
আচ্ছা তিথিক্ষয় সমস্ত তিথিতে মিশে যেতে পারে না ? সমস্ত তিথি মিশে গিয়ে এক তিথি হয়ে যেতে পারে না?
আর কতকাল ? আর কতকাল বিসর্জন হবে আমাদের স্বপ্নের প্রতিমা? একবার যদি আমরা দুর্গাকে বিসর্জন না দিই? হতে পারে না? যদি আমরা তার মূর্তি বিসর্জন দিই, চিরতরে? দুর্গাকে ধারণ করে রাখা যায় না মনের মন্দিরে? হৃদয়ে প্রজ্বলন করা দেবীর আলো?
চলুন বিসর্জন দেই অসুরকে, চিরতরে। দূর হোক হিংসা বিদ্বেষ। দূর হোক অজ্ঞতা অপ্রেম।
সেই আনন্দে শিশুরা আনন্দ করুক।
বড়রা আপাতত পুতুল খেলুক।
নাস্তিকেরা ডুবে থাকুক জ্ঞানের সমুদ্রে।
আমরা সাধারণ মানুষ আবিস্কার করে নেব নিজেদের।
নিষ্ঠুর কোরবানি ও হাস্যকর মূর্তিপূজার কাল গত হোক। ভাবনা বিকশিত হোক নিজের ভেতর। পূজা রূপান্তরিত হোক আত্মশুদ্ধির অনুষ্ঠানে।
দুর্গা আসবে আর আসবেই, অসুর বাড়বেই আর বাড়বেই এ কেমন প্রতারণা!
পুজারী, অসুর কেন কমে না? অসুর কেন মরে না?
আচ্ছা তিথিক্ষয় সমস্ত তিথিতে মিশে যেতে পারে না ? সমস্ত তিথি মিশে গিয়ে এক তিথি হয়ে যেতে পারে না?
আর কতকাল ? আর কতকাল বিসর্জন হবে আমাদের স্বপ্নের প্রতিমা? একবার যদি আমরা দুর্গাকে বিসর্জন না দিই? হতে পারে না? যদি আমরা তার মূর্তি বিসর্জন দিই, চিরতরে? দুর্গাকে ধারণ করে রাখা যায় না মনের মন্দিরে? হৃদয়ে প্রজ্বলন করা দেবীর আলো?
চলুন বিসর্জন দেই অসুরকে, চিরতরে। দূর হোক হিংসা বিদ্বেষ। দূর হোক অজ্ঞতা অপ্রেম।
সেই আনন্দে শিশুরা আনন্দ করুক।
বড়রা আপাতত পুতুল খেলুক।
নাস্তিকেরা ডুবে থাকুক জ্ঞানের সমুদ্রে।
আমরা সাধারণ মানুষ আবিস্কার করে নেব নিজেদের।
নিষ্ঠুর কোরবানি ও হাস্যকর মূর্তিপূজার কাল গত হোক। ভাবনা বিকশিত হোক নিজের ভেতর। পূজা রূপান্তরিত হোক আত্মশুদ্ধির অনুষ্ঠানে।
দুর্গা আসবে আর আসবেই, অসুর বাড়বেই আর বাড়বেই এ কেমন প্রতারণা!
পুজারী, অসুর কেন কমে না? অসুর কেন মরে না?
প্রতারক ধর্ম, এবার তুমি বিদায় হও।
আমরা সবাই শিখে নিয়েছি নিজের ভেতরের পশুটাকে জবাই করতে হবে, অসুরটাকে বধ করতে হবে।
দুর্গা, তুমি মিথ, মিথ হয়ে থাকো।
দুর্গা, তুমি প্রেরণা, প্রেরণা হয়ে থাকো।
দুর্গা, তুমি গল্প, গল্প হয়ে থাকো।
আমরা সবাই শিখে নিয়েছি নিজের ভেতরের পশুটাকে জবাই করতে হবে, অসুরটাকে বধ করতে হবে।
দুর্গা, তুমি মিথ, মিথ হয়ে থাকো।
দুর্গা, তুমি প্রেরণা, প্রেরণা হয়ে থাকো।
দুর্গা, তুমি গল্প, গল্প হয়ে থাকো।
আসুন, নিজেই হই দশভূজা,
আসুন অসুর নিধন করি অন্তরে -বাহিরে।
আসুন প্রেম করি।
আসুন অসুর নিধন করি অন্তরে -বাহিরে।
আসুন প্রেম করি।
এক পৃথিবী, এক পরিবার।
EmoticonEmoticon