না হলো আমার না-বলা কথাটি বলা
নাই হলো লেখা অলেখা সে কবিতাটি
আজ রাতে সেটা লিখে ফেলতেই হবে
কাগজ কলম নিয়ে বসি পরিপাটি ।
টুকরো কাগজে ঢেকে যায় সারা মেঝে
রাতটুকু শেষ হয়ে আসে রাতশেষে
ছাই আর ছাই য়্যাশট্রে উপচে পড়ে
শব্দেরা কেউই বুঝি নেই আর দেশে!
কবিদের কাছে ফুটোথালা হাত পাতি
পাই আধুলিটা পেয়ে যাই কিছু সিকি
বুকের ভেতরে কারা যেন বলে ওঠে
তবে তাই হোক কবিতা লেখাই শিখি।
যেখানেই যাই আর যতদূর যাই
চারদিকে কথা কবিতার উৎসব
এখনো তো ভুলে যাইনি বর্ণমালা
আজও কি তা হলে সবই লেখা সম্ভব?
শোনো ও আমার আমরি বাংলা ভাষা
তোমাকে দিলেম অচিন পাখির ডানা
আজ থেকে তুমি আমার অপার চিঠি
কে মানে পাহাড় মরু সাগরের মানা?
ভোরের শিশির মুছে নিয়ে গেছে রোদে
সে শিশির বুঝি ফিরেছে চোখের জলে
একাদশ দিকে ফিরেই চলেছি আজও
আলোর জোনাকি এই নেভে এই জ্বলে।
বিমুখ নদীরা বিমুখ গৃহেরা পথে
তোমাকে নেবে না পলাশবাড়ির মাটি
তোমাকে নেবে না জনপদ আদিবাসী
পথিকতা তুমি চলো ফিরে চলো হাঁটি।
পথিকতা তুমি চারদিকে ফিরে চলা
তোমাকে লালন ফকির বেপথু জানে
তোমাকে নেবে না বাউলের একতারা
তোমাকে নেবে না হাছন রাজারা গানে ।
পোড়া চোখদুটো পুড়ে হোক পোড়ামাটি
ঝরাপাতাদের কাছে থাক যত কথা
সাঁঝবাতিগুলো জ্বলে ওঠে ঘরে ঘরে
এখানে থেমো না সন্ন্যাস পথিকতা ।
চাতক তৃষাটি বুকের ভেতরে পোড়ে
মেঘের মেয়েরা করতোয়া থেকে ফেরে।
অরণ্য কি আজ আকাশে বেড়াতে যাবে
সে আকাশ কারা কাঁটাতার দিয়ে ঘেরে?
এ কোথায় আমি দাঁড়িয়েছি কোন বাঁকে
কোথাও যে ঠিক মেলেনাকো ঠিকানাটি
আর কতদূর গেলে গেলে তবে সেই গৃহ
ভুল জনপদ এখানে থেমো না হাঁটি ।
গাঙচিল ওড়া নদীটির কাছে যাই
তাকেই শুধাই ওগো পাড়ভাঙা নদী
কী যে জানো তুমি কতটুকু জানো তুমি
আমাকে কি নেবে ভালবেসে ফেলি যদি?
EmoticonEmoticon