রবিবার, ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৭

বাংলাদেশ কোন দেশের চিরস্থায়ী এতিমখানা ও লংগরখানা নয়

রোহিংগা ইস্যু নতুন ইস্যু নয়।
ইতিপূর্বে ১০ লক্ষাধিক রোহিংগা বাংলাদেশে অবস্থান করছিল। শরনাথি ক্যাম্পে যত ছিল তার ৩গুন বেশি সারা বাংলাদেশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে,

ইতিপুবে ২ লক্ষের উপরে রোহিংগা বাংলাদেশি পাসপোট নিয়ে মধ্যপ্রাচ্যে গেছে।
এবার অফিসিয়ালি যোগ হয়েছে
৫ লক্ষ। আসলে এ সংখ্যা দ্ধিগুন।
আদম ব্যাপারি ও আগের রোহিংগাদের সহায়তায় সারা চিটাগাং বিভাগসহ দেশের নানা প্রান্তে অবস্থান নিয়েছে। যত রোহিংগা আগে এসেছিল তাদের প্রতি পরিবারে জন্ম নেয়া নতুন সদস্য সংখ্যা কমে ৫-৭ জন। (আপনারা ইতিমধ্যে জেনেছেন আগত রোহিংগা গভবতী নারীদের সংখ্যা প্রায় ৮০ হাজার।) যে কেউ শরনাথি শিবিরে গেলে দেখতে পাবেন, প্রতি
পরিবারে ১ মাসের বাচ্চা থেকে শুরু করে ২০ বছরের তরুন দেখতে পাবেন ৫ থেকে ৭ জন।  তার মানে সত্যিকার হিসাব যা বলা হয়েছে তার ৩ থেকে ৪ গুন বেশি।
আমার প্রস্তাবনা হলো,
১) বিভিন্ন সময়ে আসা রোহিংগাদের জন্য একটি চিরুনি আদম শুমারি করা হউক।
২) বাংলাদেশি পাসপোট নিয়ে যারা বিদেশ পাড়ি দিয়েছেন তাদেরকে চিন্নিত করে যথাযথ আইনি পদক্ষেপ নেয়া হউক।
৩) চিটাগং বিভাগসহ দেশে বিদেশে ছড়িয়ে থাকা রোহিংগাদের এনে,তাদের জন্য টেকনাফে একটি নিরাপত্তা অঞ্চল গড়ে তোলা হউক এবং তাদেরকে সরকারি উদ্যোগে (সবল্প মেয়াদে ১ বছর) সশস্ত্র ট্রেনিং ও সাবিক সহায়তা দিয়ে পুশ ইন হওয়াদের মায়ান্মারে পুশ ব্যাক করা হউক। যাতে তারা স্বাধিকারের লড়াই চালিয়ে যেতে পারে।
আমার এই পোস্টের জন্য কোন বন্ধু আমাকে রোহিংগাদের ব্যাপারে বেশি মানবিকতার জ্ঞান দিতে আসবেন না। আমি চিটাগংয়ের মানুষ। রোহিংগাদের আমরাই দীঘদিন ধরে প্রথম থেকে তাদেরকে ৩৫ বছর ধরে স্থান,রুটি,রুজির যোগান দিয়ে আসছি-মানবতার খাতিরে।
আমরা বুঝি এর সুখ:দুখ:কি?

পরিশেষে বলতে চাই,
আজকের রোহিংগা সংকট এর জন্য আমাদের সকল ক্ষমতাসিন রাজনৈতিক দল ও সরকার শতভাগ দায়ী। কোন সরকার এ যাবত তাদের ফেরত পাঠাতে ন্যুনতম কোন  কাযকরী উদ্যোগ গ্রহণ করেনি,পুশ ব্যাক করার চেষটাও করেনি। বরঞ্চ রোহিংগাদের নিয়ে রাজনৈতিক খেলায় মেতেছে সবাই, এখন থেকে একজন নোবেল নেয়ার জন্য লবিংও শুরু  করে দিয়েছেন রীতিমত।
যার ফল আজকের রোহিংগাদের অমানবিক পরিস্থিতি ও বাংলাদেশের জন্য গুরুতর নিরাপত্তা সংকট তৈরী করেছে।

আন্তজাতিক(বিশ্বকাপ ফুটবলের) খেলার  ফুটবলের নাম রোহিংগা-েষটডিয়ামের নাম বাংলাদেশ,ম্যাচ খেলছে আমেরিকা,চীন,ভারত,রাশিয়াসহ সকল বাঘা বাঘা খেলোয়াড়রা।
এই খেলা এখনি বন্ধ করার জন্য দেশের প্রতিটি নাগরিকের প্রতি সরকার ও প্রত্যেক রাজনৈতিক দলকে চাপে ফেলার আহবান জানাচ্ছি।

আমি স্পষ্টত ঘোষনা করছি----
বাংলাদেশ কোন দেশের চিরস্থায়ী  এতিমখানা ও লংগর খানা নয়।

আমরা ৩০ লক্ষ শহীদের বাংলাদেশকে
আগামী বিশব শক্তির খেলার মাঠ বানাতে দেবনা,না,না,না।


EmoticonEmoticon