শনিবার, ২ সেপ্টেম্বর, ২০১৭

মনুষত্ব না পশুত্ব কোনটা বলা শ্রেয় ।

অনেকে লিখছেন,  কোরবানি দিয়ে মনের পশুত্বকে তারা জবাই করেছেন। আমি পশুত্ব শব্দের সাথে দ্বিমত পোষণ করি। পশুরা মানুষের মত নির্মম ও নির্দয় নয়। পশুদের মধ্যে মাংসাশী ও সাহসী হচ্ছে সিংহ ও বাঘ।  তারা নিজেদের স্বগোত্রিয় প্রাণী হত্যা করেনা। নিজেদের খাদ্য চাহিদা ছাড়া  তার মানুষ ও অন্যান্য প্রাণী হত্যা করেনা। মাংসাশী হোক আর তৃণভোজী হোক সাধারণত  তারা স্ত্রীপ্রাণীকে ধর্ষণ করেনা। তারপরেও আমরা  মানুষতান্ত্রিক অনেক ভুলভাল বিশেষন ব্যাবহার করি।

কলিঙ্গর যুদ্ধে রাজা অশোক পাঁচলক্ষ লোক হত্যা করেছিলো। হালাকু খাঁন কাবুল নগরী দখল করে নারী, পুরুষ, শিশু সবাইকে খুন করেছিলো। ইংরেজ, স্পানিশ, পর্তুগীজ,  ফরাসীরা উত্তর ও দক্ষিণ আমেরিকার কোটি কোটি রেড ইন্ডিয়ান মানুষদের খুন করেছিলো। বাংলা ১২৭৬ ও ১৩৫০ সালে ফিরিঙ্গী ইংরেজরা  শুধু বাংলায় খাদ্যসংকট সৃষ্টি করে ও কলেরার জীবাণু ছড়িয়ে কয়েক কোটি বাঙালীকে হত্যা করেছিলো। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে হিটলার শুধু রাশিয়ায় এককোটি লোককে হত্যা করেছিলো। আর পাক হানাদাররা তিরিশ লক্ষ বাঙালীদের খুন করেছে।
তারপরেও আমরা এইসব ঘৃণিত মানুষের প্রশংসা করে অনেক কিছু লিখি।

আসলে প্রাণীজগতে এক মাত্র মানুষই  হত্যা ও ধর্ষণে অন্য প্রাণীদের চাইতে এগিয়ে আছে। তাই কখনো কোন প্রাণী যদি বিপথগামী হয়ে এইসব  ঘৃণ্য কাজ করে ফেলে, তবে তখন তাদের বলতে হবে তাদের মনুষত্ব জেগে উঠেছে!


EmoticonEmoticon