হাদিস শরীফের বিরোধিতা করে কিভাবে ঈমানদার দাবি করবে এসো ।
যারা লেখা পড়া করে নাই তারাও এখন খুব ভাল ভাবে জানে যে বাল্যবিবাহ একটি অপরাধ এবং অনেক ক্ষতিকর। কারন স্বাস্থ্য অধিদফতর এলাকায় গিয়ে গিয়ে সচেতন মূলক অনেক অনুষ্ঠান করেছিল বাল্যবিবাহ বিরোধী। আমি ছোট বেলা থেকেই দেখে আসতেছি বিটিভি এবং অন্য সব চ্যানেল গুলিতে বার বার এই স্বাস্থ্য অধিদফতর এর সচেতন অনুষ্ঠান প্রচার করেছিল।দেখুন এইটা কতটা ক্ষতিকর হলে সরকার আইন করে ও বন্ধ করতে না পেরে বিভিন্ন রকম ভাবে সচেতন করে বন্ধ করতে চায়।তার পরেও মানুষ এই অপরাধ করে যাচ্ছে কারন ধর্ম আদেশ দিয়েছে এই জন্য তারা মেনে নিচ্ছে এইটা খারাপ না।ধর্ম ত্যাগ করার জন্য এই রকম একটা অমানবিক আইন যথেষ্ট।তার পরেও যদি বলেন আপনারা বাল্যবিবাহ ঠিক আছে তাহলে আপনার সাথে যুক্তিতর্ক করার কিছুই নেই।রেফারেন্স গুলি একক মুমিনা বোন দিয়েছিল।
বাল্যবিবাহ সারাজাহানের সম্মুখে তুলে ধরেছেন আল্লাহ তায়ালার পবিত্র ওহী । পবিত্র ওহীর নির্দেশ পালন করে বাল্যবিবাহকে সুন্নতী শান দান করেছেন আল্লাহর রসূল । বাল্যবিবাহ কোন কাফির মুশরিক প্রবর্তন করেননি । প্রবর্তন করেছেন আল্লাহ ও তার রসূল । এই ব্যাপারে আল্লাহ তায়ালা তাঁর কালাম পাকে বলেছেন ,
قل انما يوحى الى
অর্থঃ হে আমার হাবীব ! আপনি বলে দিন যে, আমার প্রতি ওহী নাযিল হয়ে থাকে। (সূরা আম্বিয়া, আয়াত ১০৮)
,
অন্য আয়াতে আল্লাহ তায়ালা বলেছেন ,
وما ينطق عن الهوى ان هو الا وحى يوحى
অর্থ: “হাবীব সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ওহী ব্যতীত নিজ থেকে কোন কথা বলেননি।” (সূরা নজম: আয়াত ৩ , ৪)
,
অর্থাৎ স্পষ্ট প্রমাণিত নবীজী ওহী ব্যতীত কোন কথা বলতেন না। তেমনি আল্লাহ তায়ালা তাঁর হাবীবকে মুমিনগণের মাতা হযরত আয়েশা (রাঃ) কে বিবাহের নির্দেশ দিয়েছিলেন জীবরাঈল (আঃ) এর মাধ্যমে । যখন নবীজী নির্দেশ পান তখন হযরত আয়েশা (রাঃ) এর বয়স ছিল মাত্র ছয় বছর । নবীজী ছয় বছর বয়সী হযরত আয়েশা (রাঃ) কে বিবাহ করে আল্লাহর নির্দেশ পালন করেন ও বাল্যবিবাহের প্রবর্তন করেন । সুবহান আল্লাহ !
,
যারা নবীজীর বাল্যবিবাহের বিরুদ্ধে কথা বলবে তারা সাথে সাথেই কাফির মুশরিকদের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাবে , গোমরাহীতে লিপ্ত হয়ে যাবে । নতুন করে কালিমা পড়ে ঈমান না আনা পর্যন্ত তারা মুসলমান দাবি করতে পারবে না । এই ব্যাপারে আল্লাহ তায়ালা বলেছেন ,
وَمَا كَانَ لِمُؤْمِنٍ وَلَا مُؤْمِنَةٍ إِذَا قَضَى اللَّهُ وَرَسُولُهُ أَمْرًا أَن يَكُونَ لَهُمُ الْخِيَرَةُ مِنْ أَمْرِهِمْ وَمَن يَعْصِ اللَّهَ وَرَسُولَهُ فَقَدْ ضَلَّ ضَلَالًا مُّبِينًا
অর্থঃ "কোন মু'মিন পুরুষ ও কোন মুমিন নারীর এই অধিকার নাই যে , আল্লাহ ও তার রাসূল কোন বিষয়ে ফায়সালা করে দেবেন তখন সে সেই ব্যাপারে নিজে কোন ফয়সালা করার ইখতিয়ার রাখবে । আর যে ব্যক্তি আল্লাহ ও তার রাসূলের অবাধ্যচরণ করবে , সে নিশ্চয়ই সুস্পষ্ট গোমরাহীর মধ্যে লিপ্ত হলো ।" (সূরা আহযাব , আয়াত নং ৩৬)
,
অন্য আয়াতে আল্লাহ তায়ালা সেইসব মুমিন মুসলমানের কথা বলেছেন যারা আল্লাহ ও তাঁর রসূলের অনুগত । এই ব্যাপারে আল্লাহ তায়ালা বলেন ,
وَمَن يَقْنُتْ مِنكُنَّ لِلَّهِ وَرَسُولِهِ وَتَعْمَلْ صَالِحًا نُّؤْتِهَا أَجْرَهَا مَرَّتَيْنِ وَأَعْتَدْنَا لَهَا رِزْقًا كَرِيمًا
অর্থঃ তোমাদের মধ্যে যে কেউ আল্লাহ ও তাঁর রসূলের অনুগত হবে এবং সৎকর্ম করবে, আমি তাকে দুবার পুরস্কার দেব এবং তার জন্য আমি সম্মান জনক রিযিক প্রস্তুত রেখেছি। (সূরা আহযাব , আয়াত নং ৩১)
দলিল দিচ্ছি । সাহস থাকলে বিরোধিতা করেন ।
হাদীস শরীফে বর্ণিত আছে,
عَنْ حضرت ام الـمؤمنين عائشة عليها السلام أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم تَزَوَّجَهَا وَهْيَ بِنْتُ سِتِّ سِنِينَ وَأُدْخِلَتْ عَلَيْهِ وَهْيَ بِنْتُ تِسْعٍ وَمَكَثَتْ عِنْدَهُ تِسْعًا.
অর্থঃ উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আয়েশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। নিশ্চয়ই নবীজীর সাথে শাদী মুবারক সম্পন্ন হয় যখন উনার বয়স ছিল ৬ বছর। আর তিনি ৯ বছর বয়সে নবীজীর ঘর মুবারকে তাশরীফ গ্রহণ করেন এবং ৯ বছর বয়সে উনার সাথে অবস্থান মুবারক করেন।” সুবহানাল্লাহ !
- ছহীহুল বুখারী - হাদীস ৪৮৪০
EmoticonEmoticon